সকালে :
সকালের মেকআপে ফাউন্ডেশন লাগাবেন না। হালকা কমপ্যাক্ট পাউডার লাগান। হাসলে গালের যে অংশটা ফুলে উঠবে সেই অংশে অর্থাৎ চিকবোনে হালকা ব্রাশন লাগাতে পারেন। তবে গাল থেকে কান পর্যন্ত পুরো অংশে ব্রাশন লাগানোর দরকার নেই। সকালের জন্য ন্যাচারাল বাদামি রংয়ের আইশ্যাডো বেছে নিন। মোটামুটি সব রঙের ত্বকের সঙ্গে মানানসই। চোখের পাতার মধ্যের অংশে একশেড লাগান। চোখের পাতার ওপরের অংশে আইশ্যাডো গাঢ় করে লাগান। চারকোল বা বাদামি রঙের কাজল পরুন। ট্রান্সপারেন্ট মাশকারাও দিতে পারেন। ন্যাচারাল কালারের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। হাতের নখও ভালো করে কেটে একই রঙের নেইলপলিশ লাগান। গোলাপি রঙের গ্লসও ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এ ছাড়া আলট্রা শিমার বেসড গ্লস লাগাতে পারেন।
সন্ধ্যায় :
নিজের ত্বক অনুযায়ী মেকআপ বেছে নিন। চিকবোনে ব্রাশন লাগান। সন্ধ্যা বা রাতে কী রঙের মেকআপ লাগাবেন সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বয়স বেশি হলে চলছে এরকম রং ব্যবহার করার আগে ভেবে নিন। গাঢ় নীল আইশ্যাডো ও গাঢ় মেরুন রং উগ্র দেখাবে। রাতে চোখের শেড হবে ডার্ক, ড্রামাটিক ও স্মোকি। চকোলেট বাদামি, মরিচ লাল,গাঢ় ছাই আর্দশ। শেড আই পেনসিল দিয়ে ব্লেন্ড করুন। এরপর চোখের পাতার ওপরের ও নিচের অংশে আই রিম হাইলাইট করুন। চোখের উপরের পাপড়িতে লাইন বাড়িয়ে নিন। নিচের পাপড়িতে বাদামি মাশকারা লাগান। ত্বকের রং, চোখের রং ও চুলের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লিপস্টিক পছন্দ করুন। সরু ঠোঁটে গাঢ রং, পুরু ঠোঁটে হালকা রঙের লিপস্টিক লাগান। লিপস্টিকের কাছাকাছি একই রঙের লিপ লাইনার ব্যবহার করুন। লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে তারপর লিপস্টিক লাগান। লিপস্টিকের বাইরে দিয়ে লাইনার যেন দেখা না যায়।
কোন ত্বকে কী রকম মেকআপ :
তৈলাক্ত : প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করুন। তারপর অ্যাস্ট্রিজেন্ট লোশন লাগান। ১০ মিনিট পর কমপ্যাক্ট পাউডার লাগান। ফাউন্ডেশন লাগাবেন না। কমপ্যাক্ট পাউডার লাগালে ত্বকে অতিরিক্ত চকচকে ভাব থাকে না। ফাউন্ডেশন লাগাতে চাইলে ওয়াটার বেসড ফাউন্ডেশন লাগান। ত্বকে লাগানোর আগে এক ফোঁটা পানি মিশিয়ে নিন। না হলে কেক ফাউন্ডেশন বা প্যানস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। ফাউন্ডেশন লাগানোর পর পাউডার লাগান। মুখে ফাউন্ডেশন বসে যাবে। চোখে আইলাইনার ও আইশ্যাডো ব্যবহার করুন।
রুক্ষ ও পরিণত : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা, ভাঁজ পড়তে থাকে। ত্বক অনুজ্জ্বল লাগে, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই এ ধরনের ত্বকে সুন্দর করে মেকআপ করতে পারেন। ভারী ফাউন্ডেশনে ত্বকের বলিরেখা আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই লিকুইড বা পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। লিকুইড ফাউন্ডেশন লাগালে ত্বকের অনুজ্জ্বল ভাব ঢাকা পড়ে। পাউডার ফাউন্ডেশন লাগালে আলাদা করে কমপ্যাক্ট লাগানোর দরকার হয় না। থ্রি ইন ওয়ান আইশ্যাডো, লিপ কালার, চিক কালার স্টিক কিনে নিন। আইশ্যাডো চিকবোনে লাগানোর পর ব্রাশ দিয়ে লিপ কালার হালকা করে লাগান। চোখে কালোর বদলে ছাই, বাদামি,হালকা বেগুনি আই লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। পেনসিল কাজলের বদলে আই লাইনার কলম ব্যবহার করুন। শেষে মাশকারা লাগান।
কিভাবে বাছবেন মেকআপ :
ফর্সা : যাঁদের গায়ের রং ফরসা তাঁরা গাঢ় বা ডার্ক রঙের পরিবর্তে হালকা কোমল রং এবং প্যাস্টেল শেড বেছে নিন। আই মেকআপের জন্য নীল বা বেগুনি শ্যাডো মানানসই হবে। গোলাপি বেজের নানা শেডের ব্লাশন লাগান। লিপস্টিক পরুন হালকা রঙের।
শ্যামলা : যাঁরা শ্যামবর্ণ তাঁরা ফাউন্ডেশন পছন্দ করার সময় যতটা সম্ভব নিজের গায়ের রঙের কাছাকাছি শেড পছন্দ করুন। কমপ্যাক্ট পাউডারের বদলে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। মরিচ লাল, লাল, গাঢ় কমলা অর্থাৎ গাঢ় এ ধরনের ত্বকে মানানসই। রাতের পার্টির জন্য আদর্শ রং বাদামি, গাঢ় তামাটে আইশ্যাডো। লিপস্টিক হবে গাঢ় রঙের।
কালো : এ ধরনের ত্বকে একটু হলুদঘেঁষা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। আইশ্যাডো হবে গাঢ় অর্থাৎ বাদামি, তামাটে বা বেগুনি। রাতের জন্য উপযুক্ত তামাটে বা সোনালি লিকুইড ব্লাশন। গাঢ় রঙের লিপস্টিক মানানসই।
0 comments:
Post a Comment